পেকুয়ায় অপহৃত এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় সিএনজি চালকসহ ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করলে তিন জনকে পৃথক সাজা দেন আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকায়। আটককৃতরা হলেন পুর্ব টইটং গুদিকাটা এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে রেজাউল করিম (২৮), খুইন্নাভিটা এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে সিএনজি চালক মো.আনছার (২৭) ও সদর ই্উনিয়নের উত্তর মেহেরনামা আব্দুল হামিদ সিকদার পাড়া এলাকার হাজ্বি হাবিবুর রহমানের ছেলে শাহাব উদ্দিন (২৮)। এদের মধ্যে শাহাব উদ্দিন সদর ইউইপর সদস্য ইসমাইল সিকদারের ছোট ভাই। অপহৃত শিক্ষার্থীর নাম জান্নাতুল নাঈম মুবিনা (১৫)। তিনি টইটং ইউনিয়নের পুর্ব টইটং গুদিকাটা এলাকার মৃ.হাফেজ ছাবের আহমদের মেয়ে। তিনি বাঁশখালী পুঁইছড়ি ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর ছাত্রী।
পেকুয়া থানার এসআই মোর্শেদুল আলম জানায় ওইদিন সকালে মুবিনা নিজ বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। মাদ্রাসায় পৌঁছতে ওই শিক্ষার্থী একটি সিএনজিতে উঠে। সিএনজি চালক পুর্ব থেকে ওতপেতে ছিল। সিএনজিটি বাঁশখালীর দিকে না গিয়ে শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিপরীত পথ বারবাকিয়া ইউনিয়নের মৌলভী বাজার এলাকায় নিয়ে আসে। মেয়েটিকে অপহরনের উদ্দেশ্যে ওই স্থান থেকে অপর যুবক শাহাব উদ্দিন ও রেজাউল করিম গাড়িতে উঠে ছাত্রীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গাড়িসহ তাদেরকে আটক করে। পরে বিষয়টি পুলিশকে খবর দেয়। বিকেলে পেকুয়ার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আটককৃতদের সোপর্দ করা হয়।
পেকুয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.মারুফুর রশিদ খান জানায় মেয়েটিকে অপহরন করছিল শাহাব উদ্দিন। অপর দু’জন ছিল সহযোগি। এদের মধ্যে শাহাব উদ্দিনকে এক বছর ও অপর দু’জনকে এক মাস করে সাজা দেয়া হয়।
পাঠকের মতামত: